দোলা, হে দোলা-
হে দোলা, হে দোলা।
আঁকা-বাঁকা পথে মোরা
কাঁধে নিয়ে ছুটে যাই
রাজা-মহারাজাদের দোলা।
আমাদের জীবনের-
ঘামে ভেজা শরীরের বিনিময়ে
পথ চলে দোলা।
হেঁইয়া না- হেঁইয়া না-
হেঁইয়া না- হেঁইয়া!
হেঁইয়া না- হেঁইয়া না-
হেঁইয়া না- হেঁইয়া!
দোলার ভিতরে ঝলমল করে যে
সুন্দর পোশাকের সাজ-
আর, ফিরে ফিরে দেখি তাই,
ঝিকমিক করে যে,
মাথায় রেশমের তাজ।
হায় মোর ছেলেটির
উলঙ্গ শরীরে
একটিও জামা নেই তোলা।
দুচোখে জল এলে মনটাকে বেঁধে যে
তবু বয়ে যাই দোলা।
হে দোলা-
হে দোলা, হে দোলা।
হেঁইয়া না- হেঁইয়া না-
হেঁইয়া না- হেঁইয়া!
হেঁইয়া না- হেঁইয়া না-
হেঁইয়া না- হেঁইয়া!
যুগে যুগে ছুটি মোরা কাঁধে নিয়ে দোলাটি,
দেহ ভেঙে ভেঙে পড়ে
যুগে যুগে ছুটি মোরা কাঁধে নিয়ে দোলাটি,
দেহ ভেঙে ভেঙে পড়ে।
ঘুমে চোখ ঢুলু-ঢুলু রাজা-মহারাজাদের
আমাদের ঘাম ঝরে পড়ে।
উঁচু ওই পাহাড়ে ধীরে-ধীরে উঠে যাই
ভাল করে পায়ে পা মেলা।
হঠাৎ কাঁধের থেকে পিছলিয়ে যদি পড়ে
আর দোলা যাবে না তো তোলা-
রাজা-মহারাজার দোলা-
বড় বড় মানুষের দোলা।
হে দোলা-
হে দোলা, হে দোলা।
আঁকা-বাঁকা পথে মোরা
কাঁধে নিয়ে ছুটে যাই
রাজা-মহারাজাদের দোলা।
হে দোলা-
হে দোলা, হে দোলা।
হেঁইয়া না- হেঁইয়া না-
হেঁইয়া না- হেঁইয়া!
হেঁইয়া না- হেঁইয়া না-
হেঁইয়া না- হেঁইয়া!
Click here to read in Assamese